ডেইলি নরসিংদী ২৪ : নরসিংদীর মাধবদীতে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যূর পর একই পরিষদের মহিলা সদস্য তার স্ত্রী বলে দাবী করে। এ ঘটনায় নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানাস্থ কাঁঠালিয়া ইউনিয়ন জুড়ে আলোচনার ঝড় উঠে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান মরহুম হারুন অর রশিদ মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মরহুম হারুন অর রশিদ মোল্লার ছেলে জুলকার নাইম নাফিজ।
লিখিত বক্তব্যে নাফিজ বলেন, তার পিতা মরহুম হারুন অর রশিদ মোল্লা নরসিংদীর কাঁঠালিয় ইউপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে অসুস্থ হয়ে পড়েন, পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যূ হয়। তার মৃত্যূর ৩/৪ দিন পর বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে শুনতে পায় একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার বীনা আক্তার তার পিতার স্ত্রী দাবী করে এলাকায় অপ্রচার চালাচ্ছে। তার পরিবারের সদস্যরাও লোক মারফত বিয়ষটি সত্য উপস্থাপনের জন্য বলে। কিন্তু বীনা আক্তার কারো কাছে বিয়ের কাবিন নামা দেখাতে পারেনি। শুধু মাত্র নোটারী পাবলিকেশনের একটি হলফ নামা যা একেকজনের কাছে ভিন্ন ভিন্ন তারিখের উপস্থাপন করে।
নাফিজ বলেন, ইউপি সদস্য বিনা আক্তার অতি লোভি ও খারাপ প্রকৃতির একজন মহিলা। তার প্রথম বিয়ে হয় রহিমদি গ্রামের মানাউল্লাহ মিয়ার সাথে। সেই পরিবারে তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ওই স্বামী ঘরে থাকা অবস্থায় নায়াকান্দি গ্রামের মোস্তফা মেম্বারের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মোস্তফা মেম্বারের হাত ধরে মানাউল্লাহর ঘর ছাড়ে। তার দ্বিতীয় স্বামী মোস্তফা মেম্বারের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে ওই মহিলা আমার মরহুম পিতার বিয়ে করা স্ত্রী বলে দাবী করছে। যার কোন ভিত্তি নেই। লোভি প্রকৃতির এই মহিলা মোল্লা বাড়ির বউ হিসেবে আর্থিক সুবিদা ভোগ করতে, চেয়ারম্যানের চেয়ার হাতিয়ে নিতে, রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা লুটতে এই সকল কূট-কৌশল। যার কিছুটা হলেও ইতোমধ্যে তার হাসিল হয়েছে। আমার পিতার মৃত্যুর পর বর্তমানে বীনা আক্তার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
লিখিত বক্তব্যে সে আরও বলেন, আমার পিতা একজন ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন, আর বীনা আক্তার তার পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন। সহকর্মী হিসেবে এক সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দুইজনে একসাথে বিভিন্নভাবে ছবি তোলে। আর ওই স্বার্থানেস্বী মহিলা নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে আমার পিতার সাথে তোলা কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ লোকজনদের দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। সে আমার পিতার এলাকায় বিভিন্ন রকমের অপকর্মসহ স্ত্রী দাবি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে। অল্প কয়েক দিনে অন্যায়ভাবে এলাকার মানুষদের ঠকিয়ে টাকার পাহাড় গড়ছেন। যাপন করছে বিলাস বহুল জীবন।
সাংবাদিক সম্মেলনে মরহুম হারুন অর রশিদ মোল্লার ভাই ইকবাল মোল্লা বলেন, বিনা আক্তার একজন সাধারণ ইউপি সদস্য। কিছুদিন আগেও সে ভাড়া বাসায় থাকতো বর্তমানে সে বিলাস বহুল চলাফেরা করে। বিশাল বাড়ি করে ও দামি গাড়িতে চড়ে।
তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে অনুরোধ জানাতে চাই, তার আয়ের উৎস কি? কোথায় পেল সে এতো অর্থ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মরহুম হারুন অর রশিদ মোল্লার ভাই ইকবাল মোল্লা, হাবীবুর রহমান মোল্লা শিপনসহ অন্যান্য আত্মীয় সজনসহ বিভিন্ন ইলেক্টনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা।
Leave a Reply