প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গত ১৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে মাধবদী পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক বাহিনীর আহাদ ও আরিফ গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ, গুলিবিদ্ধ ২ শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে লেখা হয়েছে আহাদ ও আরিফ গ্রুপের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোদ্ধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে আহত হয় নুরালাপুর গ্রামের কাইয়ুমের ছেলে আশিক ও বিরামপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে সাব্বির।
সংবাদে আহাদ কিভাবে জার্মানি ব্যান্ডের গাড়ি ব্যবহার করে তাও প্রশ্ন ওঠে। এ ব্যাপারে আব্দুল আহাদ প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত কথা বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকৃত পক্ষে আমার বিরুদ্ধে এলাকার একটি কুচক্রি মহল আমার রাজনৈতিক ও পারিবারিক সুনাম নষ্ট করার জন্য সংবাদ দাতাকে ভুল তথ্য দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। আহাদ জানায় ঘটনার সময় আমি মাধবদীতেই ছিলাম না আমি গত রাতে ঢাকায় স্কিন স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছিলাম। সে তার চিকিৎসা এবং শারিরিক পরিক্ষার কাগজ পত্র সংবাদকর্মীদের সামনে উপস্থাপন করেন।
তিনি আরো জানান, তিনি একজন ব্যবসায়ী তার কাপড়ের ব্যাবসা সুতার গদি সহ ঠিকাদারী ব্যবসা রয়েছে। সে ২০১০ সাল থেকে তার বাবা হাজ্বী মোঃ নান্নু মিয়ার ব্যবসা নিজ দায়িত্বে পরিচালনা করে আসছে। সে ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনটি ব্যাংক থেকে ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করে বাড়ি গাড়ি করেছেন। আমি শহর আওয়ামীলীগের একজন সহ দপ্তর সম্পাদকের পদে রয়েছি সে হিসাবে আমার কিছু কর্মী সমর্থক রয়েছে। কিন্ত আমার কোন সন্ত্রাসী গ্রুপ নেই। প্রকৃত পক্ষে আরিফ ভাইয়ের সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। আমি রোববার রাতে ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানিনা। আমি উপস্থিত সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ রাখবো যে ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে সত্যকে উপস্থাপন করুন। মিথ্যে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনকারী সবার প্রতি অনুরোদ রইলো। এ সমস্ত মিথ্যে ভুয়া সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকুন, অন্যথায় আমি প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের বাধ্য থাকিব। এব্যাপারে আমি সরকার ও প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
Leave a Reply