ডেইলি নরসিংদী ২৪, রাব্বি সরকার : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে থমকে গেছে দুনিয়া। বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সহপাঠী ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আগের মতো হচ্ছে না দেখা, গল্প করা এবং খেলাধুলার সুযোগ। তাই একটু বন্দীদশা থেকে পরিত্রাণ পেতে শিবপুর উপজেলার শিশু-কিশোররা বিনোদন হিসেবে প্রতিদিনই ঘুড়ি উড়ানো উৎসবে মেতে উঠেছে। শুধু দিনের আকাশে নয়, রাতের আকাশেও তারা উড়াচ্ছে শত শত রঙিন ঘুড়ি। এমন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন উপজেলাবাসী।
ঘুড়িগুলোর মধ্যে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে নানা রঙের বাতি। এ ঘুড়ি উড়ানোর দৃশ্য রাতের প্রকৃতিতে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
এলাকাবাসী বলছেন, মনোমুগ্ধকর এই আয়োজন যেন এক নতুন বার্তা। করোনা পরিস্থিতিতে থমকে যাওয়া জনজীবনে স্বস্তির এক ছোঁয়া নিয়ে শিবপুর উপজেলার আকাশে উড়ছে শত শত বাহারি ঘুড়ি। লাল, নীল, সাদা, কালো, হলুদ, খয়েরি এ যেন প্রকৃতির এক অবাক করা মনোরম দৃশ্য। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামের খোলা মাঠে এ যেন বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যে শোভিত এক রঙিন পরিবেশ। ছোট, বড়, লম্বা, চিকন অনেক রকম ঘুড়ি উড়ছে আকাশজুড়ে। অনেকে আবার একত্র হয়ে নানা ধরনের ঘুড়ি বানিয়ে বিক্রিও করছেন। তারা তৈরি করছেন কয়রা ঘুড়ি, চিল ঘুড়ি, সাপ ঘুুড়ি, চং ঘুড়ি, লন্ঠন ঘুড়ি। এসব ঘুড়িতে তারা সংযোগ করছেন বাহারি রঙের বাতি।
উপজেলার খড়িয়া গ্রামের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল, জাহিদ হাসান, রাজন, রফিকুল ও ইমনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের জন্য তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সব বিনোদনের জায়গা। কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না। তাই একটু মানসিকভাবে আনন্দের জন্য তারা নানা ধরনের ঘুড়ি বানিয়ে উড়াচ্ছে। তাতে তাদের অনেক আনন্দ। এ রকম বিনোদন আর কখনো পায়নি তারা।
শহর থেকে আসা শিক্ষার্থী রিফাত সরকার বলেন, টিভিতে ঘড়ি উৎসব দেখেছি। কিন্তু কখনো বাস্তবে ঘুড়ি উড়াইনি। এই প্রথম আমি গ্রামে এসে ঘুড়ি উড়ালাম। অনেক মজা পেলাম। শহরের কোলাহল থেকে গ্রামের ঘুড়ি উড়ানোর অভিজ্ঞতা বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে পারব।
Leave a Reply