ডেইলি নরসিংদী ২৪ : শরীর ও মনকে ভালো রাখতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটায় এবং সামাজিক গুনাবলি অর্জনে সাহায্য করে। এমন একটা সময় ছিল যখন সবাই মাঠে ময়দানে খেলাধুলা করত কিন্তু এখন মাঠে ময়দানে খেলার পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে, কারণ শিক্ষার্থীরা এখন মোবাইলের ডিসপ্লেতে ভার্চুয়াল মাঠে নানা রকম ব্যয়বহুল অনলাইন গেইমে আসক্ত ।
ক্লাস অফ ক্লান্স, ফ্রি ফায়ার, পাবজি, পাবজি লাইট, কল অব ডিউটি সহ বিভিন্ন ধরনের অনলাইন গেমস নিয়ে এখন তরুনরা ব্যস্ত। যেসময়টা তাদের বই পড়া কিংবা মাঠে ময়দানে খেলাধুলা করার কথা সেই সময় তারা ঘরের কোনায় বসে এসব গেইম খেলছে। এতে তাদের পড়াশোনার ক্ষতির পাশাপাশি শরীর ও মনের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। কিছু মোবাইল অপারেটর কোম্পানি এসব অনলাইন গেমস খেলায় আগ্রহী করতে বিভিন্ন ধরনের অফার দিচ্ছে।
অনেক ছেলে মেয়ে এইসব গেইম খেলার খরচ যোগাতে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করে পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। সন্তানদের এমন অভ্যাসে বিব্রত তাদের অভিভাবকরাও।
মাঠে ময়দানে দলগতভাবে খেলাধুলা শরীর ও মনকে সতেজ রাখার সাথে সাথে সুন্দর চরিত্র গঠনে সহযোগিতা করলেও এসব অনলাইন গেইমে কোন শিক্ষা মুলক বিষয় তো নেই বরং অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করে আসক্ত ব্যক্তির মানসিকতাকে ধ্বংসাত্মক করে তোলে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কাজটি অস্বাভাবিক মাত্রায় করা হয় তখন সেই বিষয়ে এক ধরনের নেশা তৈরি হয় । আর অস্বাভাবিক যেকোনো কাজ করায় শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ইন্টারনেটে আসক্তি দিন দিন বাড়ছে, ইন্টারনেটের অপব্যবহার বাড়ায় বর্তমানে অনলাইন গেমস খেলায় তরুণ সমাজ আসক্ত হয়ে পড়েছে। এই সমস্যাকে বলা হয়ে থাকে ইন্টারনেট গেমিং এডিক্টেড ডিসঅর্ডার (আই জি এ ডি) অর্থাৎ যারা বেশি পরিমাণে অস্বাভাবিক মাত্রায় ইন্টারনেট বা অনলাইন গেমস খেলায় আসক্ত তারা (আই এ ডি) রোগে আক্রান্ত।
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় জানতে চাইলে, শরীরচর্চা শিক্ষক এম এ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সবার আগে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে । তরুনদের শরীর চর্চা সম্পর্কে জানাতে হবে এবং খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
Leave a Reply