সুমন পাল, মাধবদী প্রতিনিধি : মাধবদী শহর শাখা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মোজাম্মেল মিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফাাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
মোজাম্মেল মাধবদী থানার মেন্ডাতলা কোতোয়ালীরচর গ্রামের মৃত হাবিবুল্লাহ এর ছেলে।
মোজাম্মেল মিয়া বলেন, অন্যায় ভাবে ওয়ারিশ সম্পত্তি ক্রয়ের প্রতিবাদ করায় তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন একই এলাকার মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে সাফি মাওলানা। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি এবং এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে সবসময় নিঃস্বার্থ ভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করি। মাধবদী পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক এর নির্দেশে এবং সহযোগিতায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস এর কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষগুলোর পাশে থেকে ওদের দুঃখ লাগবের জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া মাধবদী পৌরসভার জননন্দিত মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক এর আর্থিক সহযোগিতায় এলাকার বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতু রাজনীতি করি এবং এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে মানুষ তাদের সুখে দুঃখে আমাকে পাশে পেতে চায় তাই আমিও সর্বদা নিজেকে তাদের কল্যাণে নিয়োজিত রেখেছি।
গত কিছুদিন আগে আমার এলাকার কবির হোসেনের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন আমাকে জানায় যে, আমাদের এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে নাঈম, মৃত আলাউদ্দিন এর ছেলে দেলোয়ার তাকে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি নিয়ে যেতে চেয়েছিলো বিষয়টি সে বুঝতে পেরে তার কাকা তাজুল ইসলামকে জানালে তিনি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। আমি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য নাঈম ও দেলোয়ারকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো কোনো নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে নাঈমকে মেরে তার ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যাওয়া। তারা তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়াতে আমি ওদের সবার সামনে শাসনের সুরে ধমক দিয়ে নিয়মিত নামাজ পড়া এবং ভালো হয়ে চলার আদেশ দেই এবং টাকা পয়সা লাগলে আমাকে জানাতে বলি।
হঠাৎ করে ঐ দিন রাতে লোকমুখে শুনতে পাই যে, নাঈম মিয়া আত্মহত্যা করেছে তার বাড়িতে। আমি এবং এলাকার লোকজন ছুটে যাই নাঈমের বাড়িতে ওখানে গিয়ে শুনি একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমাকে নাঈমের হত্যাকারী বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে, পরে নাঈমের পিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা নাঈম আত্মহত্যা করেছে বলে সর্বমহলে সাক্ষী দিলে পুলিশ লাশ পোস্টমর্টেম এর জন্য হসপিটালে পাঠিয়ে দেয়।
মোজাম্মেল আরো বলেন, কুচক্রী মহল থেমে নেই ওরা যেকোনো ভাবে আমার ক্ষতি করতে চায়। আমার এলাকার বাসিন্দা সাফি মাওলানা গত কিছুদিন আগে অন্যায় ভাবে একজনের ওয়ারিশ সম্পত্তি ক্রয় করলে আমি গ্রাম্য মজলিসের সামনে তার অন্যায়ের বিরোধিতা করি এতে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সাফি মাওলানা আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য নাঈমের পিতা জুলহাস মিয়াকে মোটা অংকের টাকার লোভ দেখায়। জুলহাস মিয়া তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি আমি সহ এলাকার সাবাইকে জানিয়ে দেয়। মোজাম্মেল এর কথার সত্যতা যাচাই করতে কথা বলি অটো চালক জাকির হোসেন এর সাথে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ওদের উদ্দেশ্য ছিলো আমাকে মেরে আমার ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যাওয়া। কথা হয় মৃত নাঈমের সঙ্গী দেলোয়ার এর সাথে সেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমরা নাঈমকে নিয়ে সারাদিন ঘুরেছি তার ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য।
কথা হয় মৃত নাঈমের পিতা জুলহাস মিয়ার সাথে তিনি বলেন, আমার কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই তিনি আরো বলেন আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে কেউ তাকে হত্যা করেনি আমি সাফি মাওলানার নামে মাধবদী থানায় জিডি করবো কারণ তিনি আমাকে মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে মোজাম্মেলের নামে হত্যা মামলা করার জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
Leave a Reply