ডেইলি নরসিংদী ২৪, ডেস্ক রিপোর্ট : গতকাল রোববার (০৭ জুন) সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজারে আপন চাচীর ঘরের চালের ড্রাম থেকে ৩ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিয়ানীবাজারের কুড়ারবাজার ইউনিয়নের উত্তর আকাখাজনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে চাচী ও তার পরকিয়া প্রেমিক শিশু সায়েলকে খুনের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে জানায় যে, রবিবার সকাল ৬টার দিকে ভিকটিম সায়েল ও তার ভাই আরিফ আম কুড়াঁনোর জন্য চাচী সুরমা বেগমের বসতঘরের সামনে যায়। আম কুড়াঁনো শেষে সে চাচীর বসতঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে নাহিদুল ও সুরমা বেগমের অনৈতিক মেলামেশা দেখে চিৎকার শুরু করে।
তখন নাহিদুলের নির্দেশে চাচী সুরমা বেগম গাছের ডাল দিয়ে ওই শিশুর মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন চাচী ও তার প্রেমিক ওই শিশুর নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে গোসলখানায় থাকা একটি প্লাষ্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখে।
পুলিশ জানায়, দিনভর সায়েলকে খোঁজা হলেও কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। মসজিদের মাইকেও তার খোঁজে প্রচারণা চালানো হয়। এ সময় চাচী সুরমা বেগম তার বসতঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখাসহ রহস্যজনক আচরণ করতে থাকেন। এতে নিহত শিশুর পিতাসহ এলাকার লোকজনের সন্দেহ হলে তারা চাচীর বসতঘরে প্রবেশ করে তল্লাশি শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে সুরমা বেগমের গোসলখানায় রাখা ড্রামের ভিতর কম্বল দিয়ে মোড়ানো শিশু সায়েলের নিথর দেহ পাওয়া যায়।
ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আপন চাচী সুরমা বেগম (৩৮) ও তার পরকিয়া প্রেমিক নাহিদুল ইসলাম (২৬) কে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
manus takar jonno koto kiii na kore..