ডেইলি নরসিংদী ২৪ : নরসিংদী সদর হাসপাতালে ফেরদৌসি বেগম (২৭) নামের এক নারী বৃহস্পতিবার মৃত্যু বরণ করেন। কিন্তু মৃত ব্যক্তির লাশের জানাজা ও দাফন করার জন্য ভয়ে স্বজনরা এগিয়ে আসেনি। তবে অবশেষে আজ শুক্রবার জানাজা ও দাফন করার কাজ সম্পন্ন করে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ কর্মকর্তারা।
আজ শুক্রবার (২৯ মে) নরসিংদীর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার) পিপিএম এর নির্দেশে দাফনের জন্য হাসপাতাল থেকে লাশ বুঝে নেন নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সৈয়দুজ্জামান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে হঠাৎ মাথা ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট জনিত কারনে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি হন ফেরদৌসি বেগম (২৭)। ঐদিনই সন্ধ্যা ৭টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
জেলা পুলিশের মিডিয়ার সমন্বয়ক ও পরিদর্শক রূপণ কুমার সরকার পিপিএম জানান, ফেরদৌসি বেগমের স্বামী- আল আমিন এর বাড়ী ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার খাল্লা গ্রামের এবং তার বাবার বাড়ী ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার সলিমগঞ্জ গ্রামে। তার স্বামী ১০ বছর যাবৎ মালদ্বীপে থাকে। নরসিংদী পৌরসভার সালিধাতে হাসানের বাড়ীতে ৫ম শ্রেণীতে পড়া ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে হঠাৎ মাথা ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট জনিত কারনে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ঐদিনই সন্ধ্যা ৭টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরো জানান, করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে এই ভয়ে ফেরদৌসি বেগম এর স্বামীর বাড়ীর ও বাবার বাড়ীর পক্ষের কোন লোকজনই লাশ বুঝে নিচ্ছিলেন না। পরে নরসিংদী পৌর কবরস্থানে কবর খুঁড়া থেকে শুরু করে ওই নারীর দাফন সম্পন্ন করেন নরসিংদী মডেল থানার ওসি-সহ থানা পুলিশের সদস্যগণ।
Leave a Reply